ঝিকরগাছা প্রতিনিধি: যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হলো দীর্ঘ ২০ বছর পর। সীমানা সংক্রান্ত মামলার কারণে এতদিন যাবত এই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ ই জানুয়ারি ২০২২ ইং (০২ মাঘ ১৪২৮ বাংলা) রোজ রবিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর, বাছাই ২০ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহার ২৭ ডিসেম্বর।

তথ্যসূত্র অনুযায়ী, ২০০১ সালের ২ এপ্রিল ঝিকরগাছা পৌরসভায় প্রথম এবং শেষ একবারই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয় বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল এরপর টানা ২০ বছর নির্বাচন বিহীন পার হয় এই পৌরসভা। ১৯৯৮ সালে ৪ এপ্রিল উপজেলা সদরের ৯ দশমিক ৪৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ঝিকরগাছা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ২০০৬ সালের প্রথম দিকে পৌরসভার সীমানা বাড়ানো হয়। এতে সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর, ফারাসাতপুর, পদ্মপুকুর পানিসারা ইউনিয়নের পুরন্দপুর, কাউরিয়া ও গদখালী ইউনিয়নের বারবাকপুর ও বামনআলী গ্রামের অংশবিশেষ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়।কিন্তু এসব অঞ্চল প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত না হতে এলাকাবাসী নানা রকম প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। শেষমেষ কাউরিয়া গ্রামের শাহিনুর রহমান, বামনআলী গ্রামের শাহাদৎ হোসেন ও মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত না হতে হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। আর এতেই আটকে যায় ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচন। ফলে ২০০৬ সালের নির্বাচন থেকে তফসিল ঘোষণা স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এর আগে, ০৪ অক্টোবর ২০২১ ইং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনে, দেশের পৌরসভাগুলোয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখনকার মতো অতিরিক্ত সময় থাকতে পারবেন না। এই বিধান যুক্ত হয়।

এদিকে ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার খবর শুনে পৌরবাসী খুবই আনন্দিত। তারা জানান, আমাদের এই পৌরসভা নির্বাচন বহু বছরের প্রতীক্ষিত। আমরা এই নির্বাচনে সৎ, যোগ্য ও পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোর উন্নয়ন যে প্রার্থীর দ্বারা সম্ভব ভোটের মাধ্যমে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত করব।